Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

খেজুর খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? কেন খেজুরে চিনি কম? জেনে নিন!


 

ডায়াবেটিস হলে খাবার সম্পর্কে সচেতনতা থাকা দরকার। ডায়াবেটিস হলে খাবার খাওয়ার পর খাবারের গ্লুকোজ লেভেল পরিমাপ করা প্রয়োজন হয়। একটি ডায়াবেটিস রোগী যদি সঠিক খাদ্য নিয়মাবলী মেনে চলেন তবে খেজুর খাওয়া যাবে কি? চলুন সেটি আলোচনা করা হবে।

খেজুর হল একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং আপনাকে ত্বকহাড় এবং চুল উন্নয়ন করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও খেজুর আপনাকে শক্তি প্রদান করে এবং আপনার শরীরের প্রতিরক্ষা বাড়াতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস হলে খেজুর কি খাওয়া যাবে?

খেজুর খাওয়া অনেক ভালো। খেজুর একটি সুস্থ ফল যা একটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপযোগী হতে পারে। খেজুর সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে খেজুর খাওয়া উচিত নাকারণ এতে বেশি ক্যালোরি থাকতে পারে। তবে একটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খেজুর খাওয়া উপযোগী হতে পারে।খেজুরে মূলত ফ্রুক্টোস নামক একটি কার্বোহাইড্রেট ধারণ করে যা প্রাকৃতিক রূপে উপস্থিত থাকে এবং পাকানো হলেও একই রকম থাকে। তাই খেজুর খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী হতে পারে।

ফাইবার: খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল এর ফাইবারের উপস্থিতি। প্রতি 100 গ্রাম খেজুরে প্রায় 6.7 গ্রাম ফাইবার থাকে। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়টিক হিসাবে কাজ করে যা শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। 

একজন ডায়াবেটিস রোগী খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই তার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করতে হবে। তার ডাক্তার পরামর্শ দেবেন যে কতটা খেজুর খাওয়া উচিত এবং কীভাবে এটি খাওয়া উচিত। সাধারনত অল্প পরিমানে খেজুর একবারে খাওয়া উচিত (২৫০ মিলি বাটি এর অর্ধেক)।


                              


খেজুর খাওয়ার কিছু উপকারিতা:

 

1.  ডায়াবেটিসনিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: খেজুর খাওয়া ব্লাড শুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে কারণ এটি অল্প পরিমাণে ক্যার্বোহাইড্রেট ধারণ করে এবং ধীরে ধীরে ফ্রুক্টোস প্রস্তুত করে। এরপরওডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার পূর্বে তাদের ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত।

 

2.   হার্ট এর উন্নতি করে: খেজুর আলসস্ব রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদয় স্বাস্থ্য উন্নয়ন করে। খেজুরে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ কমানো সাহায্য করে।

 

3.  পুরো শরীর প্রতিরক্ষা বাড়াতে সহায়তা করে: খেজুর একটি এনটিওক্সিডেন্ট যা পুরো শরীর প্রতিরক্ষা প্রদান করে। খেজুরে ভিটামিন এভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে যা পুরো শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াওখেজুর খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজসমূহ পূর্ণ করা যায়।

 

4.  স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে সহায়তা করে: খেজুরে ভিটামিন বি-৬ ও সিরোটনিন থাকে যা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে সহায়তা করে।

 

5.      প্রতিরোধশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে: খেজুর এনটিওক্সিডেন্ট সম্পদ থাকে যা প্রতিরোধশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে।ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খেজুর একমাত্র উপায় নয় ডায়াবেটিস রোগীর খাবারের পরিমাণপ্রকৃতি এবং ফ্রিকুয়েন্সি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।। তবেডায়াবেটিস রোগীর খাবারের একটি সঠিক উদাহরণ হিসাবে খেজুর যোগ করা যেতে পারে।

 

অতএবখেজুর খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর উপাদান হিসাবে ধরা যায়। এটি সুগারের পরিমাণ দ্রুত বাড়ায় না এবং ভালো পরিমাণে ফাইবার  আছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি ডায়াবেটিস রোগীর খাবার হিসাবে খেজুর যোগ করা যেতে পারে


আরো পড়ুনঃ ডায়েবেটিস এর ঝুকিতে আছেন যারা!! 

 

 

Post a Comment

0 Comments